অনলাইনে আয়ের তরিকা সমূহ


পর্ব ১ :
ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় নিয়ে অনেক গুঞ্জন শোনা যায়, পোস্ট দেখা যায় সত্যি ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করা যায়? হ্যাঁ যায়, তবে স্বপ্নের মতো আয় করা যায় না, শ্রম করে আয় করতে হয় এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা একান্ত প্রয়োজন আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন পথে আপনি এগুবেন
সাধারণত ইন্টারনেট থেকে আয়ের অনেক পথ আছে, আবার প্রতারণার ফাঁদও আছে তাই সাবধানতার সঙ্গে বুঝেশুনে আপনাকে পথ চলতে হবে এখন ঘরে বসেই একজন মাসে আয় করতে পারবেন ১৫ হাজার থেকে কমপক্ষে লাখ টাকা আমরা ধারাবাহিকভাবে অনলাইনে ইনকামের ধরনের একশটি সঠিক উপায় দেখানোর চেষ্টা করব তবে এক ক্লিকে এক কোটি ডলার বা সাইন আপ করেই ৫০ হাজার ডলার নিয়ে নিন, এমন কিছু এখানে পাবেন না প্রথমেই বলে নিচ্ছি, যারা রাতারাতি বড়লোক হতে চান, তারা মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না আমার লেখা পড়ে মনে রাখবেন, PTC, Add Click, MLM-এর মাধ্যমে অর্থ ইনকাম ক্ষণস্থায়ী প্রতারণার একটা অভিনব পদ্ধতি স্থায়ী সারাজীবনের জন্য ইনকামের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই থাকবে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা
আপনারা জেনে রাখবেন, অনলাইনে কয়েকটি বিষযে দক্ষ লোকের অনেক মূল্য রয়েছে এগুলো হলোওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল এপস্, গেম ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিসটেম, রাইটিং অ্যান্ড ট্রান্সলেশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, এনিমেশন, কাস্টমার সার্ভিস, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও পরের পর্বে অনলাইন থেকে উপার্জিত টাকা উত্তোলন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব, বলব এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়

 পর্ব
অনলাইন থেকে উপার্জিত ডলার উত্তোলন পদ্ধতি
  :

অনলাইনে টাকা উপার্জনের কথা শুনলে সবার আগেই প্রশ্ন উঠে ডলার হাতে পাব কীভাবে? এটা নিয়ে সবার ভয় কাজ করে এজন্য কাজ শুরুর আগে কষ্টের উপার্জন হাতে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায় সেজন্য এই পর্বে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করব
মনে রাখতে হবে, অনলাইনে যে কাজই হোক না কেন, আপনাকে কেউ ক্যাশ দিচ্ছে না ডলার উত্তোলনের কয়েকটি পথ আছে সেগুলো হলো :
1. Paypal/ Money Bookers/ Alertpay
2. Pioneer Debt Master Card
3. Western Union
4. Visa Card
5. Check
6. Bank Wire Transfer
যারা আপনাকে পেমেন্ট করবে, তাদের কাছে Paypal সবচাইতে পছন্দের নাম কিন্তু বাংলাদেশে Paypal সাপোর্ট করে না তবে সেটা এখন খুব বড় কোনো সমস্যাও না বাংলাদেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের নিজেদের Office-এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন টাকা পরিশোধ করার সুযোগ দিয়ে থাকে এই পদ্ধতি বাদে বাকি সব পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত Alertpay কিছুদিন আগে বাংলাদেশে তাদের নিজেদের অফিস খুলেছে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও সরাসরি টাকা গ্রহণ করতে পারবেন, যাকে ইধহশ ডরত্ব ঞত্ধহংভবত্ বলে গুগলের মতো কোম্পানি আপনাকে পেমেন্ট করবে সরাসরি চেক দিয়ে, যদি আপনি এডসেন্স দিয়ে টাকা ইনকাম করেন
এখানে জানার বিষয় হচ্ছে, একেকটি প্রতিষ্ঠান একেক পথে টাকা পাঠায় কাজ শুরুর আগেই আপনি জেনে নেবেন কোন পথে টাকা নিয়ে আসা আপনার জন্য সহায়ক হবে সব পদ্ধতি নিরাপদ আপনার কষ্টের টাকা আপনার হাতে পাওয়ার গ্যারান্টি ৯৯.%
মনে রাখবেন, অনলাইন ইনকামের সঙ্গে অফলাইন ইনকামের কোনো পার্থক্য নেই আপনি যদি সত্যি অনলাইন ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার দরকার সঠিক নির্দেশনা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয়ের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি আছে সারাবিশ্বে বহু মানুষ এসব করে আয় করছেন, বাংলাদেশে তো বটেই আপনি কীভাবে শুরু করবেন কিংবা কখন শুরু করবেন সেটা আপনি কী করতে চান তার ওপর নির্ভর করে বিষয়ে পরামর্শ হচ্ছে, কোনটি আপনার উপযোগী ঠিক করুন, যদি প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়, প্রস্তুতি নিন উদাহরণ হিসেবে ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরি করলে যে পরিমাণ অর্থ পাবেন তার থেকে অনেক বেশি পাবেন ফ্ল্যাশ অ্যানিমেটেড ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরি করলে কাজের ধরন অনুযায়ী পারিশ্রমিক কমবেশি হয়, জটিলতা অনুযায়ী কমবেশি হয়, অভিজ্ঞতা অনুসারে কমবেশি হয় আপনি যত বেশি কাজ করবেন ঘণ্টাপ্রতি তত বেশি টাকা পাবেন যদি কাজ করতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার দক্ষতা আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় বেছে নিন, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন, তারপর শুরু করুন
পরের পর্ব থেকেই আমরা মূল আলোচনায় চলে যাব আকর্ষণীয় সেই পর্ব মিস করলে অনেক কিছুই হারাবেন তাই নিয়মিত চোখ রাখুন প্রতি মঙ্গলবার

পর্ব ৩ :

গুগল থেকে আয় করুন সারাজীবন
গুগলের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে সারা বিশ্ব থেকে হাজার-হাজার প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সেবা বিক্রি করার জন্য গুগল অ্যাডওয়ার্ডসের মাধ্যমে অনেক অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এই বিজ্ঞাপনগুলোকে মানুষের খুব কাছে পাঠানোর জন্য গুগল যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেই প্রোগ্রামের নামই হলো গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগসাইট, ফোরাম, কমিউনিটি ইত্যাদি সাইটের মালিকদের অর্থ আয় করার সুযোগ করে দেয় কিছু সহজ শর্তের মাধ্যমে
অ্যাডসেন্স হলো অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম গুগল অ্যাডসেন্স যদিও বহুদিন আগে থেকেই সারা বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন
অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের ওয়েবসাইটের থেকে উপার্জন সম্ভব শর্ত হচ্ছে, সেই সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবে সাইটে প্রচুর ভিজিটর ঢুকতে হবে, ভালো কনটেম্লটস থাকতে হবে ভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে আবার প্রবেশ করার আগ্রহ থাকে ধরনের কনটেম্লটস প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদের ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই গুগলের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে মনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০ শতাংশ ভিজিটর গুগল প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে এতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলার উপার্জন হবে অর্থাত্ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব
তবে বেশি ইনকামের লোভে নিজেরা বসে বসে ক্লিক করলে নিজেরই সর্বনাশ হবে গুগল PTC, Add Click, MLM-এর মতো বাটপার কোম্পানি নয় Fake Click করলে গুগল তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে যেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে গুগল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি গুগলের অ্যাডে ক্লিক করে, ওই বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু ঋধশব ক্লিক করেনি, বরং তার নিজস্ব আগ্রহে ওই বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে সত্যিকারের ক্লিক ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবে গুগল তার অ্যাডসেন্স প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে, কেউ Fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষম অতএব ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে
মনে রাখতে হবে, অ্যাডসেন্স একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা এর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা সঠিকভাবে তার ব্যবহার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনার একটি ইমেইল, ওয়েবসাইট/ব্লগ থাকতে হবে তারপর আপনাকে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট করতে হবে গুগল আপনার সাইট দেখে পছন্দ হলে আপনাকে গ্রহণ করবে তাই আপনাকে খুব সুন্দর তথ্যবহুল সাইট করে রিকোয়েস্ট করতে হবে পরিশ্রম করে একটা ভালো মানের ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে, মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভবএটা কল্পনা নয়, বাস্তব
যারা অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি উপার্জন করতে চান তাদের জন্য নিচে কিছু গাইডলাইন প্রদত্ত হলো
. যে ধরনের ব্লগিং সাইট করতে চান, তা ভেবেচিন্তে নির্বাচন করুন, অর্থাত্ যেসব সাইটে ভিজিটর বেশি প্রবেশ করে সে ধরনের সাইট তৈরি করুন
. সাধারণত শিক্ষামূলক (কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়সহ অন্যান্য শিক্ষা), সাধারণ জ্ঞান, খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত, ফিটনেস টিপস্, ইত্যাদি বিষয়ের সাইটে ভিজিটর বেশি হয়ে থাকে ধরনের ভালো মানের সাইটকে ফলো করে আপনিও অনুরূপ ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারেন
. প্রথমেই টাকা উপার্জনের চিন্তা মাথায় না এনে যথেষ্ট সময় নিয়ে সাইটকে সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করুন
. কখনোই কোনো সাইটের উপাদান কপি করে আপনার সাইটে পোস্ট করবেন না অবশ্য ভালো কোন ব্লগিং সাইটকে অনুকরণ করে নুতন আর্টিকেল, টিউটোরিয়াল, টিপস্ ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন
. সাইট পরিপূর্ণভাবে তৈরি হলে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মনোযোগী হন এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইওর প্রাথমিক বিষয়গুলো প্রয়োগ করুন (ব্যাকলিংক তৈরি, ফোরামে পোস্ট, বুকমার্কিং ইত্যাদি)
. সবশেষে অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করুন
. বাংলা ব্লগে খুব সহজে অ্যাডসেন্স সুবিধা পাবেন না, সেক্ষেত্রে ইংরেজি হলে ভালো হবে
অ্যাডসেন্স করতে www.google.com/adsense এখানে যাবেন

পর্ব ৪:
অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয় 

অনলাইনে আয়ের মাধ্যমগুলোর মধ্যে এক অনন্য বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেডের মধ্যে অন্যতমই বলব এটাকে এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে আমরা যে কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকারি ব্যবসায়ীকে দেখেছি যারা কোনো নির্দিষ্ট নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেন এইসব ব্যবসার ক্ষেত্রে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট মাত্রায় (% হারে) কমিশন নিয়ে থাকে যেমন ধরুন, স্যামসাং কোম্পানি তাদের মনিটর বিক্রি করবে সেটা তারা নিজেরা সরাসরি বিক্রি করে না, বিভিন্ন পাইকারের মাধ্যমে বিক্রি করে পাইকাররা এই মনিটর বিক্রি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন যে কোনো ব্যবসা এভাবেই ঘটে থাকে -কমাসের্র এই যুগে সেটাই হয়ে থাকে অনলাইনে আর ব্যবসার এই অনলাইন রূপটাকেই Affiliate বলে
অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমনই একটি প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোনো কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস অ্যাডস হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে ওই কোম্পানিকে বিভিন্ন প্রোডাক্টস অনলাইনে বিক্রি করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রোডাক্টস কেউ কেনে তবে কোম্পানি তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে কমিশন দিতে বাধ্য থাকে আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অ্যাফিলিয়েশন করতে দেখা যায় যেমন : বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্যদিনের প্রোডাক্টস এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি, যা দিয়ে পরোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয় বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিংকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে
ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয় এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রামগুলোতে কোনো একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইটে অ্যাড হিসেবে দিয়ে থাকে এই ব্যানার অ্যাডের মাধ্যমে ওই কোম্পানির পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রি হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ওই ওয়েবসাইটকে তাদের নির্দিষ্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশেরও বেশি হয়, যা আসলে খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাঁড়ায় এটির মাধ্যমে অনেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা থেকে আমার দেখা সর্বোচ্চ লাখ টাকাও আয় করছেন প্রযুক্তি মার্কেট নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চের মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি তবে এটাও মানতে হবে যে, এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মোচন করছে
এখানে কিছু অ্যাফিলিয়েট সাইট আছে, যেখান থেকে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মেম্বার হিসেবে কাজ করতে পারবেন আসুন দেখে নিই সাইটগুলো
www.amazan.com, www.marketbay.com
www.clickbank.com, www.linkshare.com
www.plimus.com, www.sellhealth.com
আপনাকে এই পদ্ধতিতে আয় করতে হলে SEO, internet marketing ভালোভাবে জানতে হবে আপনি যেই প্রোডাক্টসের অ্যঅফিলিয়েশন করছেন, কেউ যদি সেই প্রোডাক্টস গুগলে সার্চ দেয় এবং তখন যদি আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ফলাফলে আগে দেখা যায়, তাহলে আপনার কাছ থেকে সেই প্রোডাক্টস বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে আর পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাবেন সুতরাং বেশি বেশি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে SEO -এর মাধ্যমে গুগলের সার্চ ফলাফলের ওপরের দিকে আনতে হবে
 পর্ব-৫:
এই পর্বে একটি মজার সহজভাবে অনলাইনে আয়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা মনে করি www.odesk.com, www.Freelancer.com, www.scriptlance.com ইত্যাদি সাইটগুলোকে, যেখানে একজন বায়ার নির্দিষ্ট কোনো কাজ পোস্ট করেন ওই কাজে ফ্রিল্যান্সাররা বিড/আবেদন করেন তার মধ্যে বায়ার সাধারণত একজনকে নির্বাচিত করেন কাজ পেতে এসব সাইটে নূতন ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয় আজ আমি একটি ভিন্ন ধারার ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যার নাম www.fiverr.com সাইটটির বয়স খুব বেশি দিন হয়নি তবে এরই মধ্যে সাইটটি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে কয়েক লাখ ভিজিটর নিয়ে সাইটটি এগিয়ে চলেছে তবে একই ধরনের আরও কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে সেগুলোর মধ্যে মরমনঁপশং.পড়স অন্যতম

কাজের পদ্ধতি
সাইটটিতে মূলত ফ্রিল্যান্সাররা কোনো কাজের অফার দিয়ে থাকে। যার মূল্য (নির্দিষ্ট) এখানে বায়ার আপনার কাজকে খুঁজে নেবে। যেমন ধরুন, আপনি গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষ, ভালো বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারেন। আপনি এভাবে অফার লিখতে পারেন will create a simple & professional business card design only $5. অথবা আপনি লিংক বিল্ডিংয়ের কাজে দক্ষ হলে এভাবে লিখতে পারেন will sign up & create 100+ account on various high PR site for $5.
অথবা আপনি যদি Social Networking- দক্ষ হন, যদি থাকে / হাজার ফেসবুক ফ্রেন্ডস, আপনি বায়ারের ওয়েবসাইট প্রমোটের জন্য এভাবে অফার দিতে পারেন will promote your website on 2000 friends facebook page. মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনার কাজ বা সার্ভিস যতবার বিক্রি হবে ততবার পাবেন আপনি নির্ধারিত প্রাপ্য টাকা। প্রতিবার বিক্রির ওপর আপনি পাবেন ডলার আর সাইট কর্তৃপক্ষ নেবে ডলার। অর্থাত্, আপনার কোনো প্রজেক্ট যদি ২০ বার বিক্রি হয়, তবে আপনি পাবেন ৮০ ডলার। আবার এখানে র্যাংক সিস্টেম আছে। যদি আপনি ১০টা অর্ডার সফলভাবে শেষ করতে পারেন, তাহলে আপনার র্যাংক হবে তখন আপনি ১০ ডলারে কাজের অফার দিতে পারবেন। এভাবে র্যাংক বাড়তে বাড়তে একটা পর্যায় আপনি ৫০ ডলার পর্যন্ত অফার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি কোনো ক্রেতাকে মানিয়ে নিয়ে একটা কাজের জন্য একের অধিক কাজের পরিমাণ পেমেন্ট নিতে পারবেন। তখন আপনার আয় অনেক বেড়ে যাবে। সাইটটি ভিজিট করে ফ্রিল্যান্সারদের পোস্ট করা কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করলে আরও আইডিয়া পেয়ে যাবেন। সাইটটির ঠিকানা—www.fiverr.com. একবার ঢুকলেই বুঝতে পারবেন, এখানে কত রকম কাজের অফার দেয়া সম্ভব। এখানে আপনার কাজ যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে মাসে ২০০ থেকে হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

পেমেন্ট সিস্টেম
সাইটটি আপাতত শুধু পেপ্যালের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকে। বাংলাদেশে এখনও পেপ্যাল চালু না হওয়ায় অনেকেই হয়তো সাইটটিতে কাজ করতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশে অনেকে নিজেদের ভেরিফাইড পেপ্যাল দিয়ে এই সার্ভিস দিয়ে থাকেন। গুগল সার্চ দিয়ে তাদের নাম বের করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আশা করা যায়, শিগগিরই বাংলাদেশে চালু হবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত পেপ্যাল




8 comments:

  1. অনলাইন আয় নিয়ে ভালো একটি পোস্ট করেছেন। আমি ব্লগ লিখে টুকটাক আয় করতেছি। নতুনদের জন্য পোস্টটি কাজে আসবে। ধন্যবাদ...

    ReplyDelete
  2. Excellent by www.allitbd.com

    ReplyDelete
  3. অনলাইন আয় নিয়ে পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ... :D

    ReplyDelete
  4. লেখাটি ভালো লাগলো।
    tuhin

    ReplyDelete
  5. দারুন লিখেছেন

    ReplyDelete